আজ বুধবার, ১২ই আষাঢ়, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে জুন, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনারগাঁয় দুই গ্রুপের সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত অর্ধশতাধিক

পরিবহন চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সোনারগা উপজেলার মদনপুর এলাকায় দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় পুলিশের ৪ সদস্যসহ দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক আহত। যার মধ্যে দু’জন গুরুতর আহত।

রোববার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে মদনপুর এলাকায় আমির গ্রুপ ও খলিলুর রহমান খলিল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা যায়, মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার খলিলকে কুপিয়ে আহত করার মধ্য দিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সংঘর্ষে পুলিশসহ দুই পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মদনপুর ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের নির্বাচিত মেম্বার খলিল মদনপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তার নিজস্ব পল্ট্রি ফিডের দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় আমির গ্রুপের আমির সোহেলসহ অর্ধ শতাধিক ক্যাডার এসে তাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। প্রায় সকলেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খলিলের উপর হামলা করেন। একই সময়ে শাহ আলম নামে এক হকার তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে তাকেও মাটিতে ফেলে আহত করে ক্যাডাররা। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে খলিল গ্রুপের সদস্যরা মাইকে ঘোষণা দিয়ে আমির গ্রুপের সদস্যদের বাড়িঘরে হামলা চালায়। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক বন্ধ করে দেন ও সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে আমির গ্রুপও পাল্টা হামলায় দুই পক্ষের হামলা পাল্টা হামলায় এলাকা রণক্ষেত্রে পরিনত হয়।
সংঘর্ষের এক পর্যায়, খবর পেয়ে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পুলিশের ৪ সদস্য আহত হন।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, মদনপুর বাসস্ট্যান্ডের চাঁদাবাজি ও স্থানীয় পরিবহন সেক্টরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এই সংঘর্ষটির সৃষ্টি হয়। এর আগেও একাধিকবার দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে দুই পক্ষেরই থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজহারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘গুরুতর আহত দুজনকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পুলিশের তৎপরতায় পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক এখন স্বাভাবিক রয়েছে, যানবাহন চলাচল করছে।

স্পন্সরেড আর্টিকেলঃ